এর আগে প্রথম পর্বে আমরা ঘরোয়া ৫ প্রকার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এই পর্বে আরো ৫ প্রকার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। শখের বাগানে যতটা সম্ভব কম রাসায়নিক কীটনাশক প্রয়োগ কম করা বা না করা তা দিকেই নজর দিতে হবে। নিজের ও গাছের সুরক্ষা আপনাকেই নিতে হবে, তাই রাসানিক কীটনাশককে না বলুন ও জৈবিক পদ্ধতিতে ঘরোয়া উপায়ে কীট দমনে করুন। আপনার হাতের কাছে যা জিনিস আছে তাই দিয়েই
পোকামাকড় দমন করার পক্রিয়া এখানে দেখানো হচ্ছে।
৬/ তামাক পাতার নির্যাস : অনেক বাড়িতে তামাক পাতা, খৈনি পাতা বা কৌটোয় তামাক নেশার দ্রব্য হিসাবে অনেকে রাখেন। না থাকলেও খুব সহজেই কিনতে পাওয়া যায়।প্রথমে এক কাপ তামাক পাতা কুচি করে কেটে নিতে হবে। এর পর ৩ লিটার জলে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। ওই মিশ্রন লিকার চায়ের মত দেখতে হবে। যদি রঙ গাঢ় হয় তবে আর একটু
জল মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ সরাসরি গাছে প্রয়োগ করলে ল্যাদা পোকা, জাব পোকা ক্ষেত্রে খুব কার্যকরি।
মনে রাখতে হবে এই মিশ্রণ টমেটো, বেগুন, জিরে বা আলু প্রভৃতি গাছের প্রয়োগ করা যাবে না, এতই এই গাছ গুলি মারা যেতে পারে।
৭/ আদার নির্যাস : ৫০ গ্রাম আদা ভালো করে থেঁতো করে ২ লিটার জলে মিশাতে হবে। এর সাথে সাবান গুড়ি মিশাতে হবে ২ চা চামচ। এবার মিশ্রণ টি গুলে ও ছেঁকে নিয়ে গাছে স্পে করে বা
ছিটিয়ে দিতে হবে। জাবপোকা, সাদামাছি, চিরুনি পোকা দমনে কার্যকরী।
৮/ নিম খোল বা নিম বীজ : ২০০ গ্রাম নিম খোল বা নিম বীজ ভেঙ্গে ১০ লিটার জলে সারা রাত (১২ ঘন্টা) ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন ২ চা চামচ সাবান মিশিয়ে গাছে স্পে করতে হবে।
৯/আলোর ফাঁদের ব্যবহার: একটি শক্ত লাঠিতে একটা মাটির ভাড় ঝুলিয়ে জমিতে বা টবে পুঁতে দিতে হবে। লাঠিতে ঝোলানো ভাড়ে একটি জ্বলন্ত মোমবাতি বসিয়ে দিতে হবে।ভাঁড়ের মধ্যে জল ও কোরোসিন মিশ্রন রাখতে হবে। আলোয় আকৃষ্ট হয়ে পোকারা ঔ মাটির ভাড়ের আসবে ও করোসিনের দ্রবনে পড়ে মারা যাবে।
১০/ করমচা, আতা ও সজনে পাতার নির্যাস: ২০০ গ্রাম করমচা, ২০০ গ্রাম আতা ও ২০০ গ্রাম সজনে পাতা একসাথে হামাল দিস্তা দিয়ে থেঁতো করে নিয়ে ৩ লিটার জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে।সকালে ৩ চা চামচ সাবান গুড়ো গুলে , ছেঁকে নিতে হবে। এবার মিশ্রনটা স্পে করেতে হবে। মনে রাখতে হবে যেকোন একটা পাতা যদি না পান তাহলে অন্য ২ টো পাতা ৩০০ গ্রাম করে মোট ৬০০ গ্রাম দিতে হবে।৩ লিটার জলে। লাল মাকড়, জাবপোকা জন্য বিশেষ কার্য করি।
হাতের কাছে যা আছে যেমন, লঙ্কা (শুকনো বা কাঁচা), রসুন, আদা, ধনেপাতা, কেরোসিন, তামাক পাতা, সাবান গুড়োর জল,নিমপাতা, সজনে পাতা, তাই দিয়েই মিশ্রন তৈরী করুন ও গাছে প্রয়োগ করুন,পোকা মাকড় থেকে নিজে ও গাছের পাতা, ফুল ও ফলকে বাঁচেতে। কিভাবে কি পরিমানে মিশাতে হবে তা
আগের ১ম পর্বে ও এই পর্বে আলোচনা করে দিলাম। ভাল লাগলে বলবেন।
পেজের আপডেট পেতে আমার ফেসবুকের পেজে লাইক দিন। এখানে
ミスティーノ ミスティーノ fun88 fun88 william hill william hill 10cric 10cric m88 m88 온라인카지노 온라인카지노 fun88 soikeotot fun88 soikeotot 996
ReplyDelete